মাদরাসাছাত্রীকে গরম পানিতে ঝলসে দিলেন চাচি

মাদরাসাছাত্রীকে গরম পানিতে ঝলসে দিলেন চাচি

মাদরাসাছাত্রীকে গরম পানিতে ঝলসে দিলেন চাচি
মাদরাসাছাত্রীকে গরম পানিতে ঝলসে দিলেন চাচি

অনলাইন ডেস্ক: ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মাদরাসায় পড়ুয়া ভাতিজির শরীর ফুটন্ত পানি দিয়ে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে চাচি শিরিনা আক্তারের বিরুদ্ধে। গুরুতর অবস্থায় ওই ছাত্রীকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের দত্তগ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে দত্তগ্রামের শহীদ মিয়ার স্ত্রী মমতা বেগম একটি আমগাছের চারা নিজের ঘরের সামনে লাগানোর চেষ্টা করেন।

এতে বাধা দেন শহীদ মিয়ার ছোট ভাই আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী শিরিনা আক্তার। এতে দুই পরিবারের মধ্যে ঝগড়া বাধে। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে শিরিনা আক্তার উঠানের এক পাশের চুলায় থাকা গরম পানি ঢেলে দেন পাশেই বসে থাকা শহীদ মিয়ার মেয়ে মাদরাসাছাত্রী সালমা আক্তারের (১৫) শরীরে। এতে তার কোমর থেকে পা পর্যন্ত অনেক স্থানে ঝলসে যায়।
তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঈশ্বরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে রাতেই তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হলেও দিনমজুর বাবার পক্ষে ব্যয় বহন করা সম্ভব নয় বিধায় ময়মনসিংহ বার্ন ইউনিটে তার চিকিৎসা চলছে।
হাসপাতালে মেয়ের সঙ্গে থাকা বাবা শহীদ মিয়া জানান, চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তাঁর মেয়ের শরীরের বিশেষ করে কোমর থেকে পা পর্যন্ত বেশ কয়েকটি স্থানে ঝলসে গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় নেওয়া প্রয়োজন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিরিনা আক্তার ঝগড়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে গরম পানি ঢেলে দেননি। রাগের বশে চুলায় থাকা পাত্রে লাথি দিলে ওই পানি গিয়ে পড়ে সালমার শরীরে।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ওসি মাজেদুর রহমান জানান, এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা। অভিযোগ পাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়।

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply